কেন মাদরাসাতুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়া/ ইনজিনিয়াস স্কুল অব এক্সিলেন্স
এত এত মাদরাসা, স্কুল থাকতে কেন আমাদের এই প্রতিষ্ঠান? এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো একই সাথে আপনার সন্তান হাফেজ, আলেম, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও পরিপূর্ণ সুন্নতের অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলা। আমলে, আখলাখে যেন আপনার সন্তান সবার উপরে থাকে। একাডেমিক পড়াশুনাতেও যেন সবার প্রথমে থাকে।
আউটকাম বেজড এডুকেশন কে সামনে নিয়ে জেনারেল পড়াশোনায় আমাদের পথ চলা। যেন বাস্তব জীবনে আমাদের সন্তানেরা আদর্শিক, কর্মমুখর এবং সুনাগরিক হয়। চারটি ভাষার উপরে শিক্ষার্থীদের পারদর্শী করানো যেন যে কোন দেশে তার কর্মময় জীবন তৈরি করা সহজ হয়।
আমাদের শিক্ষার্থীরা শুদ্ধ বাংলার সাথে স্পোকেন ইংলিশ, অ্যারাবিক, উর্দূ এবং হিন্দি ভাষায় পারদর্শী হয়। প্রত্যেকটি ভাষা আয়ত্ব করার পাশাপাশি হাতের লেখাও যেন সুন্দর হয় সেদিকে সমান গুরুত্ব দেওয়া। আদর্শ ও ভাল মানুষ হিসেবে যেন আমাদের সন্তানেরা এই পৃথিবীতে বেড়ে উঠতে পারে। সে উদ্দেশ্যে আমাদের কারিকুলাম তৈরী করা হয়েছে। আমরা অন্যদের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। আমরা শুধু পড়াবোই না তার সাথে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের শিক্ষাটাও দিব। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, নতুন কিছু তৈরি করার আগ্রহ সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনী মানসিকতা তৈরী করা আমাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আমরা যদি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব যে, একজন শিক্ষার্থী হাফেজ, আলেম, ফকিহ্'র পাশাপাশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী হওয়ার কোন সুযোগই নেই। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে মুসলমানদের জন্য জ্ঞান আহরণের এমন একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যেখানে শিক্ষার্থীরা একই সাথে হাফেজ, আলেম, ফকিহ্ এবং দ্বায়ী হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ পায় এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান-অর্থনীতি সহ সকল ক্ষেত্রে মুসলমানদের বিজয় মুকুট পুনরোদ্ধারে সহযোগী হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সামাজিক, নৈতিক শিক্ষাসহ সকল ধরণের দ্বীনি এবং পার্থিব শিক্ষা অর্জন করতে পারবে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনে সঠিক ভাবে চলার জন্য দিক-নির্দেশনা পাবে। এবং সার্বিক ভাবে একজন ভালো দ্বীন্দার নাগরিক হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।