প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য
আমলে আখলাকে যেন আমাদের সন্তান যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম হতে পারে। উম্মতের দরদে দরদী হয়ে দাওয়াতের মেহেনতকে যেন "নিজের কাজ" বানাতে পারে। সর্বোপরি ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে রাসুল (সঃ) এর সীরাত এর অনুসরণ করা।
উদ্দেশ্য
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবা (রাঃ) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে একমুখী শিক্ষা কারিকুলামে অংশগ্রহণ করা। যাতে করে আমাদের সন্তানরা একই সাথে হাফেজ, আলেম, ফকিহ্ এবং ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার তথা বিভিন্ন প্রফেশনে নববী ইলমকে কাজে লাগিয়ে, দাওয়াতি মেজাজ, সিরাতকে অনুসরণ করে সুনাগরিক হিসেবে তৈরি হতে পারে।
কিতাব বিভাগের বৈশিষ্ট্য
পরিপূর্ণ সুন্নতের অনুসারী হিসেবে তৈরী করার চেষ্টা করা।
ঈমানী আলোচনার মাধ্যমে ক্লাস শুরু করা হবে।
ক্লাসের পড়া ক্লাসে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে।
প্রতিটি কিতাব সম্পূর্ণ শেষ করা হবে এবং পাঠ কিতাবের সাথে প্রয়োজনীয় রেফারেন্স কিতাবও পড়ানো হবে।
আরবি, ইংরেজি, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় পারদর্শী করা হবে ।
মুসলমানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান দেওয়া হবে।
আলেম হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়িক, নববী চিকিৎসা, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ক্যালিওগ্রাফি, ভূগোল এবং চারটি ভাষা শিক্ষা ও আদর্শ সুনাগরিক হিসেবে উন্নতি করা ।
সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে ছাত্রদের দূরে রাখা হবে।
পরিপূর্ণ দ্বায়ী হিসেবে তৈরি করা হবে।
প্রতিটি ক্লাসের সর্বোচ্চ ৩০ জন ছাত্র থাকবে।
ছাত্রদের জন্য করণীয়
ছাত্রদের মধ্য হতে প্রত্যেক ক্লাসে একজন ছাত্র আমির হিসেবে থাকবে এবং প্রতি ৬ মাস পরপর নতুন আমির হবে অথবা পূর্বের আমির নির্ধারণ করা হবে।
রোজানা ৫ কাজের পাবন্দি করবে, ফজরের পর তালিম মাশওয়ারা তে শরিক থাকবে। আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত ২.৫ ঘণ্টার সুরতে মসজিদ আবাদি মেহনত করবে।
প্রতি দুই মাস পরপর ৬ দিন বন্ধ থাকবে । তিন দিন জামাতে সময় লাগিয়ে বাকি তিন দিন মা-বাবার খেদমত করবে।
বাকি মাসগুলোতে ২৪ ঘণ্টার জামাতে মেহনত করবে।
কোন ধরনের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। ছাত্রদের মোবাইল ব্যবহার করা একেবারেই নিষিদ্ধ।
বড় ছাত্ররা মারকাজে সাপ্তাহিক শবগুজারি তে অংশগ্রহণ করবে।
ঈদের ছুটি এবং পরীক্ষার পর ছুটিতে লম্বা সময়ের জন্য ছাত্ররা সফরে বের হবে।
নিয়মিত বাদ এশা তিন ভাষায় হায়াতুস সাহাবার তালিম হবে।